Honey

 প্রাকৃতিক চাকের সরিষা ফুলের মধু
সরিষা ফুলের মধু দেখতে সাদাটে। এই মধুর ফ্লেভার সরিষা ফুলের ফ্লেভারের মত। এই মধু জমে/বসে যায়। এমন কি বেশি ঠান্ডা পেলে মিছরির মতো দানা আকার ধারন করবে। ঠান্ডা পেলে সরিষা ফুলের মধু যদি না বসে তাহলে বুঝতে হবে, ঐ মধুতে কোন ক্যামিকেল মিশ্রিত আছে। বসে যাওয়া মধু দেখে অনেকে চিনির শিরার মিশ্রণ বলে মনে করে। কিন্ততু সরিষা এবং ধনিয়া ফুলের মধু ঠান্ডা পেলে বসবেই। এটাই তাদের বৈশিষ্ঠ্য।
 প্রাকৃতিক মিশ্র ফুলের মধুঃ
প্রাকৃতিক মিশ্র ফুলের মধু গ্রাম-গঞ্জের উচুঁ মগডাল, পাহাড় ও উচুঁ বিল্ডিং এ পাওয়া যায়।দক্ষ মৌয়ালরা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে মৌচাক থেকে সংগ্রহ করে।চাক ভাঙ্গা প্রাকৃতিক মধুর ব্যাপক চাহিদা এই মৌচাক গুলো প্রাকৃতিক ভাবে হয়। এই মৌমাছিগুলি আকারে বড় হয়। এরা বিভিন্ন ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে কেক জমা করে। এই মধুতে কত রকমের ফুলের মধু আছে তা এক মাত্র আল্লাহ ছাড়া কেহ বলা সম্ভব না। এই মধু হল বনজ ফুলের মধু । এতে অসংখ্য ফুলের নির্যাস থাকে। এই মধু সবচেয়ে বেশী উপকারী। বিভিন্ন কবিরাজি চিকিৎসায় এই মধু ব্যবহার হয়। এই মধু সংগ্রহের পরিমান অনেক কম। বাড়ির আশেপাশে গাছে ও বনে এই মধুর চাক হয়।
ধরণঃ এই মধুতে সিজনাল ফুলের নির্যাশ বেশী থাকতে পারে। তবে এর কালার গড়ে সরিষার তেলের রঙ এর মত। এটাতে চিনির পরিমান কম থাকে বলে পিপড়া কম আসে। তবে গণহারে পিপড়ার আক্রমন হয় না। রিফাইন করা লাগে না । এটা প্রাকৃতিক ভাবেই দীর্ঘদিন ভাল থাকে ।এটাতে জীবাণু থাকে না।
 কালোজিরা ফুলের মধুঃ
আমদের দেশীয় যত মধু আছে যা আমরা বিক্রি করি তার কোনটাই চাষের মধু নয়।কিছুটা ব্যতিক্রম কালোজিরা ফুলের মধু। শীতের শেষ ভাগে যখন ফুল ফুটে তখন এ ফুল থকে মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে থাকে। কালোজিরায় যে বিশেষ ঔষধিগুন আছে তা এই মধুতে বিশেষভাবে থাকে। এ মধুর স্বাদ ও অনেক ব্যতিক্রম। অনেকে এর মাঝে খেজুরের রসের গন্ধও পান। কারন মৌমাছিরা কালোজিরার পাশাপাশি খেজুর রস ও ফুল থেকে মধু নিয়ে আসে। এ মধু খুবই স্বাস্থ্যকর। এ মধু পুরোপুরি নিরাপদ ও স্বাস্থ্য সম্মত।শতগুনে ভরা কালোজিরা ফুলের মধু। ঘন, মিস্টি, সুস্বাদু, মনোমুগ্ধকর, সোনালী বর্ণের এই মধুতে আছে অন্যান্য মধুর তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণ উপকারিতা। আছে মনমাতানো স্বাদ গন্ধ। পুষ্টি গুনে ভরা এই মধুতে আছে জানা-অজানা হাজারও উপকার।
কালোজিরা শরীরের জন্যে খুবই উপকারি। নাইজেলোন, থাইমোকিনোন আমিষ, শর্করা ফ্যাটি এসিড সহ আরো নানা ধরণের উপকারি উপাদান আছে কালোজিরাতে। আরো আছে জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-বি২, নিয়াসিন ও ভিটামিন-সি। কালোজিরা ক্ষুধা বাড়ায়। পেটের বায়ুনাশক ও ফুসফুসের রোগেও কালোজিরা খুব ভাল কাজ করে। আমাশয় হলেও কালোজিরা গ্রহণ করা যায়। এছাড়াও যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে কালোজিরা খুব ভাল কাজ দেয়। চুলপড়া বন্ধ করতে এবং চুল গজানোর জন্যে এই মধু খাওয়া যেতে পারে। ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, গলা ব্যাথা হলে কালোজিরার মধু খুবই ভাল কাজ দেয়।
 লিচু ফুলের মধুঃ
পুষ্টিগুণে অতুলনীয় সুস্বাদু লিচু ফুলের মধু। এই মধুতে আছে অন্যান্য ফুলের মধুর তুলনায় একটু বেশি স্বাদ গন্ধ। স্বাদ আর রঙে লিচু ফুলের মধু অতুলনীয়। সুস্বাদু লিচুর জন্য বিখ্যাত উত্তরবঙ্গ।লিচু ফুলের মধু খেতে খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। অভিজ্ঞ ও প্রশিদ্ধ মৌয়ালদের সাথে থেকে আমারা মধু আহরন ও সংগ্রহ করে বাজারজাত করি তাই এ মধুর স্বকীয়তা, গুণগত মান, মূল্য এবং বিষমুক্ততা নিয়ে আপনাকে আমরা শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারি।
 বরই ফুলের মধুঃ
কোরআন মজিদে আল্লাহ পাক যে কয়টা গাছের নাম নিয়েছেন, তার মধ্যে বরই বা কুল গাছ একটি। পুষ্টিগুণে অতুলনীয় সুস্বাদু বরই ফুলের মধু। এই মধুর রঙ অন্যান্য মধুর তুলনায় একটু সোনালী আর স্বাদ ও সুগন্ধ একটু বেশি। স্বাদ, রঙ গন্ধে বরই ফুলের মধু অতুলনীয়।
 ধনিয়া ফুলের মধুঃ
এই মধুর ফ্লেভার ধনিয়া ফুলের ফ্লেভারের মত। বাংলাদেশে ধনিয়া ফুলের মধু খুব বেশী পরিচিত নয়। অথচ এই মধুর উৎপাদন যে একদম কম তাও নয়। এই মধু মিষ্টি এবং হালকা মশলার স্বাদ যুক্ত। রঙ হবে গাঢ় খয়েরী ও লালের মিশ্রণ। এই মধু আমাদের কাছে কম পরিচিত হওয়ার একটা বড় কারণ হল — এই মধুকে অসাধু ব্যবসায়ীরা কালোজিরা ফুলের মধু বলে চালিয়ে দেয়। ধনিয়া ফুলের মধুুও শীতকালে জমে যেতে পারে। আর গরমের সময় জমতে একটু দেরী হয়, কয়েক সপ্তাহ বা ২/৩ মাস বা এর চেয়ে একটু বেশী সময় লেগে যেতে পারে। বোতলে রাখা ধনিয়া ফুলের মধুর বেশীর ভাগ অংশ বা আংশিক জমে যেতে পারে।
ধনিয়া ফুলের মধুও জমে অনেকটা ঘি-এর রূপ ধারণ করে। জমে যাওয়া মধু মোলায়েম, নরম এবং একটু বড় দানার হবে।

Showing all 2 results

Shopping Cart
Scroll to Top